Information

ভোটার আইডি কার্ডের ছবি ও স্বাক্ষর পরিবর্তন করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ডের ছবি ও স্বাক্ষর পরিবর্তন করার নিয়ম: ভোটার আইডি কার্ডের ছবি অস্পষ্ঠ বা অসুন্দর? জানুন ভোটার আইডি কার্ডের ছবি ও স্বাক্ষর পরিবর্তন করার অফিসিয়াল নিয়ম।

অনেকেরই জাতীয় পরিচয়পত্রে তোলা ছবি এতই বাজে এসেছে যে আইডি কার্ডের ছবি দেখে ব্যক্তির পরিচয় যাচাই করা সম্ভব হয় না। তাই যাদের ভোটার আইডি কার্ডের অস্পষ্ঠ ছবি নিয়ে অসুবিধা হচ্ছে, তারা সহজ কয়েকটি ধাপেই NID কার্ডে ছবি ও স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে পারেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানাব, কিভাবে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করবেন এ নিয়ে বিস্তারিত।

ভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন

ভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করার জন্য আপনি যেই এলাকার ভোটার, সেই এলাকার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফরম-২ পূরণ করে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফি বাবদ (ভ্যাটসহ) ২৩০/- টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের পরে সংস্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিস নতুনভাবে আপনার ছবি ও স্বাক্ষর নিবে এবং তা জাতীয় পরিচয় পত্র সার্ভারে প্রেরণ করা হবে।

ভোটার আইডি কার্ডের ছবি ও স্বাক্ষর পরিবর্তনের আবেদন একটি “খ” ক্যাটাগরির আবেদন। তাই এ ধরণের আবেদনগুলো জেলা নির্বাচন অফিসার অনুমোদন করেন। দেখুন এনআইডি সংশোধন হতে কতদিন লাগে।

ছবি ও স্বাক্ষর পরিবর্তন আবেদন অনুমোদন হলে আপনাকে তা Mobile SMS এর মাধ্যমে জানানো হবে। তারপর আপনি অনলাইন থেকে NID Card Download করতে পারবেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, আপনি নতুনভাবে Smart Card পাওয়ার জন্য স্মার্ট কার্ড রিইস্যুর আবেদন করতে হবে।

ছবি পরিবর্তনের আবেদন প্রক্রিয়াটি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফরম ২ পূরণ করুন

প্রথমে আপনি এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন ফরম ২ Download করে Print করে নিন। এবার প্রিন্ট করা ফরমে আপনার তথ্য নিচের দেয়া ছবি অনুসরণ করে পূরণ করুন। তথ্য ছকের অপ্রয়োজনীয় অংশ কলম দিয়ে কেটে দিন।

ফরম ডাউনলোড করুন

২. ফি পরিশোধ করুন

ছবি ও স্বাক্ষর যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল তথ্য এগুলো সংশোধনও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন ক্যাটাগরির মধ্যে পড়বে। তাই এ ধরণের সংশোধনের জন্য NID Info Correction ক্যাটাগরিতে ২৩০/- টাকা ফি বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।

আবেদন ফরমে ৫ নম্বর অংশে, ফি জমা দানের রশিদ হিসেবে লিখতে পারেন- বিকাশ Transaction ID লিখে দিতে পারেন।

উল্লেখ্য, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত কোন ফি এখন আর চালানের মাধ্যমে জমা দেয়া যায় না।

৩. উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা দিন

এবার পূরণ করা আবেদন ফরমটি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিন। আবেদন ফরমের সাথে অবশ্যই আপনার বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংযুক্ত করতে হবে।

সংস্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে আপনার নতুন ছবি বা স্বাক্ষর নিবে এবং তা জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য Upload করবে।

এনআইডি কার্ডের ছবি ও স্বাক্ষর পরিবর্তনের আবেদন জেলা নির্বাচন অফিস থেকে অনুমোদন করা হয়।

৪. সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করুন

আবেদন অনুমোদন হওয়ার পর NID Wing অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্রের Website থেকে সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, যাদের Smart Card রয়েছে, তারা কিন্তু আর নতুন Smart Card আপাতত পাবেন না। আপনাকে আবার নতুনভাবে ফি দিয়ে স্মার্ট কার্ড রিইস্যুর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

সাধারন জিজ্ঞাসা

  • প্রশ্ন: ছবি পরিবর্তনের পর আমি কি নতুন স্মার্ট কার্ড পাব?

    উত্তর: না। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন করার পর অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করে লেমিনেটিং করে ব্যবহার করতে পারবেন। নতুন স্মার্ট কার্ডের জন্য, ফি পরিশোধ করে স্মার্ট কার্ড রিইস্যুর আবেদন করতে হবে।

  • প্রশ্ন: কিভাবে ভোটার আইডি কার্ডের স্বাক্ষর পরিবর্তন করব?

    উত্তর: ভোটার আইডি কার্ডের স্বাক্ষর পরিবর্তন করার জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফরম-২ পূরণ করে ও ফি পরিশোধ করে আবেদন করতে হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়

১। প্রশ্নঃ আইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছে। কিভাবে নতুন কার্ড পেতে পারি?

উত্তরঃ অনলাইনে পুনরায় মুদ্রণের (রিইস্যু) জন্য আবেদন করুন। আবেদন অনুমোদিত হওয়ার পর আপনার মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। এরপর অনলাইন থেকে আপনার এনআইডি কার্ড এর কপি ডাউনলোড করে নিন।

২। প্রশ্নঃ হারানো আইডি কার্ড পেতে বা তথ্য সংশোধনের জন্য কি কোন ফি দিতে হয়?

উত্তরঃ হ্যাঁ ফি দিতে হয়। আপনার আবেদনের ফি জানতে এখানে ক্লিক করুন।

৩। প্রশ্নঃ হারানো ও সংশোধন একই সাথে করা যায় কি?

উত্তরঃ হারানো ও সংশোধন একই সাথে সম্ভব নয়। আগে হারানো কার্ড তুলতে হবে, পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে।

৪। প্রশ্নঃ হারিয়ে যাওয়া আইডি কার্ড কিভাবে সংশোধন করব?

উত্তরঃ প্রথমে হারানো আইডি কার্ড উত্তোলন করে তারপর সংশোধনের আবেদন করতে হবে।

৫। প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয়পত্রে নেই কিন্তু তথ্য পরিবর্তিত হয়েছে এমন তথ্যাদি পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব?

উত্তরঃ জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদর্শিত নয় এমন তথ্য অনলাইন থেকে সংশোধন করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা

১। প্রশ্নঃ কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়?

উত্তরঃ অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত উপযুক্ত দলিলাদি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

২। প্রশ্নঃ কার্ডে কোন সংশোধন করা হলে তার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে?

উত্তরঃ সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।

৩। প্রশ্নঃ ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কি কি সনদ দাখিল করতে হবে?

উত্তরঃ জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।

৪। প্রশ্নঃ আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কিভাবে তা সংশোধন করা যাবে?

উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে।

৫। প্রশ্নঃ বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কি?

উত্তরঃ নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে।

৬। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন আইডি কার্ড থেকে স্বামীর নাম বিভাবে বাদ দিতে হবে?

উত্তরঃ বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।

৭। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ করেছি এখন আগের স্বামীর নামের স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কিভাবে সংযুক্ত করতে পারি?

উত্তরঃ প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ে কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

৮। প্রশ্নঃ আমি আমার পেশা পরিবর্তন করতে চাই কিন্তু কিভাবে করতে পারি?

উত্তরঃ অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উলেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না।

৯। প্রশ্নঃ আমার আইডি কার্ড এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?

উত্তরঃ এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

১০। প্রশ্নঃ নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?

উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সনদ, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্‌নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।

১১। প্রশ্নঃ নিজের ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?

উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, ওয়ারিশ সনদ, ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।

১২। প্রশ্নঃ পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কি কি সনদ দাখিল করতে হয়?

উত্তরঃ পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে।

১৩। প্রশ্নঃ ঠিকানা কিভাবে পরিবর্তন/ সংশোধন করা যায়?

উত্তরঃ শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের কারনেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোন ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফর্মে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।

১৪। প্রশ্নঃ আমি বৃদ্ধ ও অত্যন্ত দরিদ্র ফলে বয়স্ক ভাতা বা অন্য কোন ভাতা খুব প্রয়োজন। কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স না হওয়ার ফলে কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছি না। লোকে বলে আইডি কার্ড –এ বয়সটা বাড়ালে ঐ সকল ভাতা পাওয়া যাবে?

উত্তরঃ আইডি কার্ড এ প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক দলিল ব্যতিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রামানিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

১৫। প্রশ্নঃ একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়?

উত্তরঃ সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।

১৬। প্রশ্নঃ আমি পাশ না করেও অজ্ঞতাবশতঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তদুর্দ্ধ লিখেছিলাম এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কি?

উত্তরঃ আপনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে।

১৭। প্রশ্নঃ আইডি কার্ড এ অন্য ব্যক্তির তথ্য চলে এসেছে। এ ভুল কিভাবে সংশোধন করা যাবে?

উত্তরঃ ভুল তথ্যের সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত দলিল উপস্থাপন করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।এক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করার পর সঠিক পাওয়া গেলে সংশোধনের প্রক্রিয়া করা হবে।

১৮। প্রশ্নঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভূক্ত বা সংশোধনের জন্য কি করতে হয়?

উত্তরঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধন করতে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়কৃত ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট দাখিল করতে হয়।

১৯। প্রশ্নঃ বয়স/ জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া কি?

উত্তরঃ এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। এসএসসি বা সমমানের সনদ প্রাপ্ত না হয়ে থাকলে সঠিক বয়সের পক্ষে সকল দলিল উপস্থাপনপূর্বক আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনে ডাক্তারী পরীক্ষা সাপেক্ষে সঠিক নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।

২০। প্রশ্নঃ স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চাই, কিভাবে করতে পারি?

উত্তরঃ নতুন স্বাক্ষর এর নমুনাসহ গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। তবে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যাবে।

২১। প্রশ্নঃ আমার জন্ম তারিখ যথাযথভাবে লেখা হয়নি, আমার কাছে প্রামাণিক কোন দলিল নেই, কিভাবে সংশোধন করা যাবে?

উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২২। প্রশ্নঃ একটি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?

উত্তরঃ এক তথ্য শুধুমাত্র একবার সংশোধন করা যাবে। তবে যুক্তিযুক্ত না হলে কোন সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে না।

জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিবন্ধন সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা

১। প্রশ্নঃ আমি যথা সময়ে ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি। এখন কি করা যাবে?

উত্তরঃ আপনি যে কোন সময়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

২। প্রশ্নঃ আমি বিদেশে অবস্থানের কারণে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি, এখন কিভাবে করতে পারবো?

উত্তরঃ আপনি যে কোন সময়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

৩। প্রশ্নঃ আমি ২০০৭/২০০৮ অথবা ২০০৯/২০১০ সালে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু সেই সময় আইডি কার্ড গ্রহণ করিনি। এখন কিভাবে আইডি কার্ড পেতে পারি?

উত্তরঃ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আপনার কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। যদি সেখানেও না পাওয়া যায় তাহলে অনলাইনে রিইস্যু করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন অনুমোদিত হওয়ার পর আপনার মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। এরপর অনলাইন থেকে আপনার এনআইডি কার্ড এর কপি ডাউনলোড করে নিন।

৪। প্রশ্নঃ ভোটার তালিকার নামের সাথে বিভিন্ন খেতাব, পেশা, ধর্মীয় উপাধি, পদবী ইত্যাদি যুক্ত করা যাবে কিনা?

উত্তরঃ ভোটার তালিকার ডাটাবেজে শুধুমাত্র নাম সংযুক্ত করা হয়, কোন উপাধি বা অর্জিত পদবী তাতে সংযুক্ত করার অবকাশ নাই।

৫। প্রশ্নঃ কোথা হতে আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে?

উত্তরঃ অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা যে এলাকায় ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে।

৬। প্রশ্নঃ আমি বিদেশে চলে যাব। আমার কার্ড কি অন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে?

উত্তরঃ অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

৭। প্রশ্নঃ কার্ডে ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য দিলে কি হবে?

উত্তরঃ জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

৮। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৩ আবার কারো ১৭ কেন?

উত্তরঃ ২০০৮ এর পরে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হচ্ছে বা পুণঃ তৈরি হচ্ছে সে সকল কার্ডের নম্বর ১৭ ডিজিট হয়ে থাকে।

৯। প্রশ্নঃ বিভিন্ন দলিলে আমার বিভিন্ন বয়স/নাম আছে। কোনটা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে?

উত্তরঃ এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদে উল্লেখিত বয়স ও নাম। ভবিষ্যতে ৫ম/৮ম সমাপনী পরীক্ষার সনদ ও গ্রহণযোগ্য হবে। লেখাপড়া না জানা থাকলে জন্ম সনদ,পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ও আবেদন করা যাবে।

১০। প্রশ্নঃ আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে কি ডুপ্লিকেট এন্ট্রি সনাক্ত করা সম্ভব?

উত্তরঃ হ্যাঁ, সনাক্ত করা সম্ভব।

১১। প্রশ্নঃ এক ব্যক্তির পক্ষে কি একাধিক নামে ও বয়সে একাধিক কার্ড পাওয়া সম্ভব?

উত্তরঃ না। একজন একটি মাত্র কার্ড করতে পারবেন। তথ্য গোপন করে একাধিক স্থানে ভোটার হলে কেন্দ্রীয় সার্ভারে আঙুলের ছাপ দ্বারা তা ধরা পড়বে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

১২। প্রশ্নঃ নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কি কি কাগজ পত্রাদি প্রয়োজন?

উত্তরঃ জন্ম নিবন্ধন সনদ, এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), ঠিকানা প্রমাণের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি, নাগরিক সনদ, বাবা-মা এবং বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, টিআইএন (TIN) নম্বর (যদি থাকে)।

১৩। প্রশ্নঃ আমি খুব দরিদ্র ও বয়স ১৮ বছরের কম। ১৮ বছরের উপরে বয়স দেখিয়ে একটি আইডি কার্ড পেলে গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরিতে বা অন্য কোথাও চাকুরী পেতে পারি। মানবিক কারণে এই পরিস্থিতি বিবেচনা করা যায় কি?

উত্তরঃ না। ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মানবিক বিবেচনার কোন সুযোগ নেই।

১৪। প্রশ্নঃ আমি ভুলে দু’বার রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছি এখন কি করবো?

উত্তরঃ যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা জানান। বর্তমানে Finger Print Matching কার্যক্রম চলছে। অচিরেই সকল Duplicate Entry সনাক্ত করা হবে। উল্লেখ্য, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

১৫। প্রশ্নঃ আইডি কার্ড আছে কিন্তু ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। এরূপ সমস্যা সমাধানের উপায় কি?

উত্তরঃ অবিলম্বে এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন।

১৬। প্রশ্নঃ একজনের কার্ড অন্যজন সংগ্রহ করতে পারবে কিনা?

উত্তরঃ অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

১৭। প্রশ্নঃ আপনারা বিভিন্ন ফর্মের কথা বলেছেন? এগুলো কোথায় পাওয়া যাবে?

উত্তরঃ এখন সব আবেদন অনলাইনে করতে পারবেন এবং আবেদনের ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফর্ম অনলাইনে থেকেই সংগ্রহ করতে পারবেন।

১৮। প্রশ্নঃ এই সমস্ত ফর্মের জন্য কোন মূল্য পরিশোধ করতে হয় কি না?

উত্তরঃ না।

Related Articles

Back to top button